এজন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাতা ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারতের জিনদাল গ্রুপ।
শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জিনদাল স্টিল ওয়ার্কস লিমিটেড ১০টি ‘৮০০ ডিডব্লিউটি মিনি বাল্ক কেরিয়ার’ নেবে।
প্রথম পর্যায়ে ৬টি এবং পরে চারটি জাহাজ নেবে জিনদাল। প্রথম পর্যায়ে জাহাজগুলো ১৮ মাসে জিনদাল গ্রুপকে দেবে ওয়েস্টার্ন মেরিন।
জাহাজগুলো ৮০০ টন পণ্য পরিবহনে সক্ষম হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ১২০ মিটার, প্রস্থ ২০ মিটার।
এসব জাহাজ নির্মাণে ৪৮০ কোটি টাকার (৬১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) চুক্তি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন জানান, জাহাজগুলো নির্মাণে ব্যয় হবে ৭৫ লাখ শ্রম ঘণ্টা। আর এখানে কর্মসংস্থান হবে ১ হাজার ২৫০ জনের।
শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, “বাংলাদেশ এখন ‘শার্ট’ থেকে ‘শিপ’ এ উন্নতি লাভ করেছে। এটি আমাদের মহৎ প্রাপ্তি। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভারত থেকে একটি উচ্চ মূল্যমানের অর্ডার পেয়েছে।”
“আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে এই চুক্তি উভয় দেশের মধ্যেকার বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গতিশীল করবে।”
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সায়ফুল ইসলাম জানান, জাহাজগুলোর নকশা ভারত এবং ইঞ্জিন জাপান থেকে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, “জামদানি শাড়ি ও সাবান দিয়ে বাণিজ্য ভারসাম্য আসবে না। বাণিজ্যের ডাইভারসিফেকশন আনতে হবে। সেদিক থেকে জাহাজ নির্মাণের এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে দুই দেশই উইন-উইন সিচুয়েশনে আছে।”
জাহাজ নির্মাণের জন্য ভারত থেকে কাঁচামাল নেয়া হলে এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ ঋণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন হাই কমিশনার।