বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং এই আগ্রহের কথা জানান।
মন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় এবং সৈয়দ আরিফ উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, “চীন বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা বলেছি দেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিয়মনীতি রয়েছে। সে অনুযায়ী বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”
বিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অন্য কোনো দেশকে মাছ ধরতে দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য সম্পদের জরিপ, সংরক্ষণ এবং অন্য দেশের জেলেদের অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ বন্ধে মন্ত্রী চীনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চেয়েছেন।
এছাড়া মুক্তাচাষ, চীনের আমুর নদী থেকে সিলভার জাতীয় মাছের জিন আমদানি এবং প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে বলেও মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান।
চীনের ঝিনুকের আকার বড় হওয়ায় মানসম্পন্ন মুক্তা আহরণ করা যায় জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার চীন থেকে বড় ঝিনুক আমদানি করতে চায় বলেও রাষ্ট্রদূতকে জানান মন্ত্রী।
চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের এসব আগ্রহের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন। শিগগিরই তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও মন্ত্রীকে জানান তিনি।
চীন দূতাবাসের রাজনৈতিক শাখার পরিচালক হু হাইলিয়াং ও বাণিজ্যিক শাখার সচিব ইয়াই কুইচেন মন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।