সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘হস্ত ও কারুশিল্প নীতিমালা, ২০১৫’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, দেশে কার্যকর শিল্পনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই নীতিমালা করা হয়েছে।
“বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন। সেক্ষেত্রে হস্ত ও কারুশিল্প গুরুত্বপূরর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ এটি শ্রমঘন শিল্প এবং বিনিয়োগ কম। এর আরেকটি দিক হচ্ছে হস্ত ও কারুশিল্পের মাধ্যমে দেশজ সংস্কৃতি লালন করে থাকি।
“এ নীতিমালার উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়ন কৌশল এবং মৌলিক কর্মসূচির বিষয়ে বলা আছে, হস্ত ও কারুশিল্প উদ্যেক্তা বা শিল্পীদের দক্ষতা ও উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধির কলাকৌশলের কথা বলা আছে।
“হস্ত ও কারুশিল্প উদ্যেক্তা বা শিল্পীদের কীভাবে আর্থিক ও বিপণন প্রণোদনা দেওয়া যায় তা প্রতিফলিত হয়েছে নীতিমালায়। এর রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়েও বলা রয়েছে।
“এ নীতিমালা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের জন্য শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে যা হবে হস্ত ও কারুশিল্প সমন্বয় পরিষদ। এ পরিষদকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য একটি বাস্তবায়ন পরিষদ হবে তার প্রধান থাকবেন বিসিক চেয়ারম্যান।”
এ নীতিমালায় কয়েকটি পরিশিষ্ট রয়েছে, একটি পরিশিষ্টে পাটজাত, চামড়াজাত শিল্পসহ ১৯টি ক্যাটাগরি দেওয়া রয়েছে যেগুলো হস্ত ও কারুশিল্প বলে বিবেচিত হবে। এর সাথে জড়িত হস্ত ও কারুশিল্পীদের সরকার সহযোগিতা ও উৎসাহ দিবে।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয় ২০১৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সন্তোষজনক বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এ সময় দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি মন্ত্রণালয়গুলো থেকে দ্রুততার সাথে পাঠানো এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশগুলো আইন করার বিষয়টি দ্রুততার সাথে করতে বলা হয়েছে।