বিদেশি ব্যাংকে সিইও নিয়োগে অনুমতি লাগবে

বাংলাদেশে কাজ করছে এমন বিদেশি ব্যাংকগুলোর স্থানীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ তিন মাসের বেশি খালি রাখা যাবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2015, 12:18 PM
Updated : 25 Feb 2015, 02:07 PM

বাংলাদেশে কাজ করছে এমন বিদেশি ব্যাংকগুলোর স্থানীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ তিন মাসের বেশি খালি রাখা যাবে না।

সেইসঙ্গে এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়ার বিধি মনে করিয়ে দিয়ে বুধবার একটি সার্কুলার জারি করেছে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।

ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৯৯১ এর ১৫ ক (২) ধারা তুলে ধরে এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ টানা তিন মাসের বেশি শূন্য রাখা যাবে না। এই বিধান বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংকের স্থানীয় প্রধান নির্বাহীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।”

“এসব পদে বিদেশি নাগরিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বোর্ডের কাজের অনুমতিসহ (ওয়ার্ক পারমিট) প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নয়টি বিদেশি ব্যাংক বাংলাদেশে কাজ করছে।

এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি তিন মাসের বেশি সময় ধরে শূন্য।

গতবছর অগাস্ট মাসে ওই পদে একজন কর্মকর্তা যোগ দিতে এলেও বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন না পাওয়ায় পদটি এখনও শূন্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইনের এ ধারাটি আগেও বিদেশি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। এ বিষয়ে ২০১৩ সালে একটি সার্কুলারও জারি করা হয়েছিল।

“অন্যান্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যেভাবে বাংলাদেশে কাজ করেন, সেই একই নিয়ম বিদেশি ব্যাংকগুলোর সাধারণ কর্মকর্তাদের জন্যও প্রযোজ্য। তারা বিনিয়োগ বোর্ড থেকে অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়ে কাজ করতে পারেন।

“কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব নয়। কারণ এ দেশের অন্যান্য ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়, সব ধরনের বৈঠকে যোগ দিতে হয়। তাছাড়া এসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়েই কাজ করে।”

এ জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।