শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, “গত ২০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল শ্রম নির্ভর। আমরা এখন যে পথে যেতে চাই তা হচ্ছে প্রযুক্তি ও মেধানির্ভর অর্থনীতি।”
“আমাদের ছোট ভুখণ্ডে প্রাকৃতিক সম্পদ হয়তো বেশি নেই। কিন্তু এদেশের মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে গত ছয় বছরে বিশ্বে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। ছয় বছর আগে আমরা যে আইটি পলিসি করেছিলাম, তার ৩০৬টি করণীয় বিষয়ের মধ্যে ইতিমধ্যে ৭০টি সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছি।”
২০১৬ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলায় ফাইবার অপটিক পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।
২০১৫ সালের মধ্যে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করার কথাও জানান তিনি।
“আগামী ১০ বছরে হাইটেক পার্কে প্রায় ৭০ হাজার আইটি পেশাজীবীর প্রয়োজন হবে। বর্তমানে যেখানে আইটি পণ্য থেকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের এ রপ্তানি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
তিনি জানান, ২০২১ সালে এ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ২০৪১ সালের জন্য ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
“শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চাই। আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং কথা দিয়েছে এ প্রশিক্ষণ শেষে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা তারা করবে।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই ৩০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ১০ হাজার জন পাবে ‘টপ আপ আইটি প্রশিক্ষণ’ এবং ২০ হাজার জনকে দেওয়া হবে ফাউন্ডেশন স্কিল প্রশিক্ষণ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এর ন্যাশনাল লিডার গৌরব তানেজা এবং অনুরাগ মল্লিক প্রমুখ।