আইটিইউ’তে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন চাইলেন পলক

আন্তর্জাতিক টেলি কমিউনিকেশন সংস্থা (আইটিইউ) এর সভায় সংস্থাটির কাউন্সিল সদস্য পদে বাংলাদেশের পক্ষে ভোট চাইলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 08:33 AM
Updated : 23 Oct 2014, 08:33 AM

তিনি বলেছেন, কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে এ অঞ্চলে আইটিইউর নীতিনির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আইটিইউ এর- এই সভা হয় বলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 

সভায় পলক বলেন, “টেলিকম  ও প্রযুক্তি খাতের অভিজ্ঞতা ও অর্জন সমূহ আমরা বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি করার মাধ্যমে একটি প্রযুক্তিময় বিশ্ব গড়তে চাই। এজন্য আইটিইউ’র আগামী কাউন্সিল নির্বাচনে আমি বাংলাদেশের পক্ষে আপনাদের মূল্যবান সমর্থন ও ভোট প্রার্থনা করছি।”

বাংলাদেশের ভবিষ্যত কর্মপন্থা হিসেবে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের ৩৫ শতাংশ জনগণকে ব্রডব্যান্ড ও ৭০ শতাংশ জনগণকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথাও সভায় তুলে ধরেন তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ ভূখণ্ড ও ৯৯ শতাংশ জনগণ টেলিকম নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত। আমাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১.৬ কোটি; ইন্টারনেট ব্যবহার করেন চার কোটি মানুষ।”

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার এই চেষ্টার স্বীকৃতি হিসাবে আইটিইউ  থেকে উইসিস (ডব্লিউএসআইএস) অ্যাওয়ার্ড এবং উইটসা (ডব্লিউআইটিএসএ) অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ঢাকায় আয়োজিত কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) তিনদিনব্যাপী কাউন্সিল সভাতেও এ বিষয়ে প্রচারণা চালায় বাংলাদেশ।

আইটিইউ এশিয়া প্যাসিফিকে ১৩টি দেশ কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হবে। ইতোমধ্যে ১৭টি এ পদের জন্য আবেদন করেছে ।

এর আগে ২০১০ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো আইটিইউর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। তারও আগে ১৯৭৩ সালে পায় সাধারণ সদস্যপদ।

গত নির্বাচনে এশীয় অঞ্চলের ১৩টি পদের জন্য ১৭টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ছিল ষষ্ঠ স্থানে। বর্তমানে আইটিইউর সদস্য হিসাবে রয়েছে ১৯৩টি দেশ।

</div>  </p>