স্থলবন্দরের শ্রমিক ও পরিবহন মালিক সুত্রে জানা গেছে, মালামাল লোডিং চার্জ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মালামাল লোড-আনলোড বন্ধ থাকে।
পরে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হলে শনিবার বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু রোববার আবারো দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আব্দুল আলীম বলেন, পণ্য খালাসের পঞ্চাশটিরও বেশি ভারতীয় চাল বোঝাই ট্রাক এবং নেপালের মসুর ডাল বোঝাই ট্রাক শনিবার সন্ধ্যা থেকে বন্দরে আটকে আছে।
“একই সঙ্গে বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় বাংলাবান্ধার বিপরীতে ভারতের ফুলবাড়িতে বেশকিছু গাড়ি আটকে আছে।”
বন্দরের কুলি-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, মালিক সমিতির লোকজন কোনো খালি ট্রাক পাঠাচ্ছে না। এজন্য দুইদিন ধরে পণ্য ওঠানো যাচ্ছে না। এতে প্রায় দুইশ’ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, মালিক সমিতি নানা টালবাহানা ও শর্ত দিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে রেখেছে।
পঞ্চগড় মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল কায়সার মিন্টু বলেন, “মূলত শ্রমিকদের কারণে ও সমন্বয়ের অভাবেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জেনেছি।”
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, “সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ডাকা হয়েছে।”