রোববার সচিবালয়ে গার্মেন্ট মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভার পর শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, “ঈদ ও পূজা উপলক্ষে শ্রমিকরা যাতে সঠিক সময়ে বেতন-ভাতা পান, সে বিষয়ে বৈঠকে সবাই একমত হয়েছেন।”
পোশাক কারখানার মালিকরা তাদের সুবিধামত সময়ে উৎসব ভাতা ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দেওয়া শুরু করতে পারবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উৎসব ভাতা এবং ২ অক্টোবরের মধ্যে চলতি মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে।
পোশাক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে গার্মেন্ট মালিকদের সহযোগিতা করতে ব্যাংকগুলোর প্রতি অনুরোধও জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব কারখানা একদিনে ছুটি না দিয়ে দুই এক দিন আগুপিছু করে ঈদ-পূজার ছুটি ঠিক করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান চুন্নু।
তিনি বলেন, “ঈদ ও পূজার সময় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে শিল্প পুলিশ সহায়তা করবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ঈদে যেভাবে সুষ্ঠুভাবে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পেরেছিলাম এবারও শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে পাওনা নিয়ে উৎসব করতে পারবে।
সভায় শ্রমসচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ’র প্রতিনিধি, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার ছাড়াও পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আগামী ৫ থেকে ৭ অক্টোবর ঈদের সরকারি ছুটি হওয়ার কথা। তার আগে ৪ অক্টোবর রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিজয়া দশমীর ছুটি।