সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির গত বৈঠকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালুর সুপারিশ করা হয়েছিল।
“আজ বৈঠকে বিমান জানিয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে।”
উড়োজাহাজের অভাবে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটগুলো বন্ধ রয়েছে কয়েক বছর আগে থেকে। সর্বশেষ ২০১১ সালে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ব্ন্ধ করে দেয়া হয়।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংযোগ ফ্লাইটে সিলেট এবং চট্টগ্রামে যাত্রী আনা-নেয়া করে বিমান।
বিমান ছাড়াও বাংলাদেশের তিনটি বেসরকারি সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এবং নভো এয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালিয়ে এলেও এগুলোর সেবার মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
গত সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, তিনি দায়িত্বে থাকার সময় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরেই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, তানভীর ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান ও মো. আফতাব উদ্দীন সরকার অংশ নেন।
ফ্রাংকফুর্ট রুটের জন্য ‘দায়ী’ কেভিন
লোকসান দিয়ে ঢাকা-ফ্রাংকফুর্ট রুটে ফ্লাইট চালানোর জন্য বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেভিন স্টিলকে দায়ী করেছেন বিমানের কর্মকর্তরা। তবে তাদের এই জবাব আমলে নেয়নি সংসদীয় কমিটি।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে লোকসানে থাকা এই রুটটি চালু রাখার প্রয়োজনীয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিমানের কর্মকর্তারা বলেন, বিদেশি এমডি কেভিন স্টিল রুটটি চালু করেন।
কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, “বিমান কর্মকর্তাদের এই জবাব দুঃখজনক। একটি রুটের জন্য একজন কর্মকর্তা দায়ী থাকতে পারেন না। এখানে পুরো সংস্থার দায়।”
সাত বছর বন্ধ থাকার পরে চলতি বছরের ৩১ মার্চ রোম হয়ে জার্মানির বাণিজ্যিক নগরী ফ্রাংকফুর্টে ফ্লাইট চালু করে বিমান। এ রুটে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট চালানো হচ্ছে।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, চালু হওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে এ রুটে ক্ষতির পরিমাণ ৭০ লাখ টাকা। এ হিসেবে গত ২১ সপ্তাহে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।