কমিটি মনে করছে, কল নিরীক্ষা শুরু হলে আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সরকার আরো বেশি রাজস্ব পাবে।
বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “বেশ কিছু আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের কাছ বিটিআরসির অনেক পাওনা বকেয়া রয়েছে। বিষয়গুলো যখন আদালতে যায় তখন সরকারের রাজস্ব আদায়ে বিলম্ব হয়। কল অডিট প্রক্রিয়া থাকলে এই বিরোধ হতো না, রাজস্বও নিয়মিত পাওয়া যেত।”
তিনি বলেন, এমন প্রক্রিয়া বের করতে হবে যতে রাজস্ব আদায় নির্বিঘ্ন হয়।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ২৮টি আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে রাজস্ব বাবদ সরকার পেয়েছে এক হাজার ২৩৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ আদায় হয়েছে ১৩৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত পাওনা রয়েছে ৭০০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
আইজিডব্লিউগুলো আন্তজার্তিক কল আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ‘গেটওয়ে’ হিসাবে কাজ করে। ২০১২ সালে সরকার ২২টি নতুন প্রতিষ্ঠানকে এই ব্যবসা চালানোর লাইসেন্স দেয়।
এ ছাড়া আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নবায়ন বাবদ প্রতিবছর দিতে হয় সাড়ে সাত কোটি টাকা।
বকেয়া পরিশোধ না করায় গত বছর দশটি প্রতিষ্ঠানের কল আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এসব বিষয় নিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মামলাও চলছে।
সংসদীয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম বন্ধে আর্ন্তজাতিক কলের নিরীক্ষার পাশাপাশি ‘এয়ার টাইম অডিট’ ও ‘সিম বক্স ডিটেক্ট’ করার জন্য বিটিআরসিকে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে।
ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শরীফ আহমেদ, শেখ আফিল উদ্দিন এবং হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।