এফবিসিসিআইয়ের জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন বিতরণ 

ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সুবিধায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন রাজধানীর ৪০টি বিপণীবিতান কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2014, 03:27 PM
Updated : 21 July 2014, 03:27 PM

সোমবার রাজধানীর এফবিসিসিআই ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব মেশিন হস্তান্তর করে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক এফবিসিসিআইকে ১৩০টি জাল নোট সনাক্তকারি মেশিন দেয়। এসব মেশিনের মধ্যে ৪০টি রাজধানীর প্রধান বিপণীবিতানগুলোতে এবং বাকি ৯০টি চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য শহরে বিতরণ করছে এফবিসিসিআই।

সংগঠনটির সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম, নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার, এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, সহ-সভাপতি হেলালউদ্দিন ও বিভিন্ন মার্কেট কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির আওতায় এসব যন্ত্র বিনামুল্যে ব্যবসায়ীদের দেয়ার জন্য সরবরাহ করেছে। 

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, “মার্কেটে একটি করে মেশিন দিয়ে জাল নোট প্রচলন বন্ধ করা যাবে তা ঠিক নয়। তবে এটি একটি উদ্যোগ যা জালকারীদের কাছে বার্তা পৌছাবে যে ব্যবসায়ীসহ সবাই এখন সজাগ। তবে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম বলেন,“জাল নোট প্রচলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি তারই অংশ। আমরা নতুন আইন করছি, সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।”

হেলালউদ্দিন বলেন,“টাকার একই ধরনের সাইজের কারণে জালকারিরা সহজে জাল করতে পারছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত বিভিন্ন নোটের জন্য বিভিন্ন সাইজ নির্ধারণ করা।”

দাশগুপ্ত অসীম কুমার ‘নোটের’ পাশাপাশি বিভিন্ন ‘কার্ড’ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

যদিও তার এই বক্তব্যের পরে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, “কার্ডগুলোতে যে ধরনের চার্জ আরোপ করা হয় তাতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ-ই তা ব্যবহারে আগ্রহ দেখাবে না।”

ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের এনায়েত করিম চঞ্চল বলেন, “আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় দোকান মালিকদের। কিন্তু সরকার দোকানদারদের কোনো প্রনোদনা বা সহায়তা দেয় না। বাংলাদেশ ব্যাংক জাল নোট সনাক্তকারি মেশিন দিয়ে দোকানদারদের পাশে দাঁড়ালো।”

পলমল মার্কেটের মনির হোসেন বলেন, “দোকানদারদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। এরমধ্যে জাল নোট বিরাট বিড়ম্বনা।”