আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরু করবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
Published : 27 Jan 2014, 04:57 PM
সোমবার বিমান সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেভিন স্টিল এ ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে কোনো দেশের উড়োজাহাজের ফ্লাইট চালাতে হলে সে দেশের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের (এফএএ) ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র দরকার হয়।
বাংলাদেশের এই ছাড়পত্র না থাকায় ১৯৯৬ সালে এফএএর নিষেধাজ্ঞায় ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রুটটিতে আবার ফ্লাইট চালু করতে গত বছরের ১৭ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে বাংলাদেশ।
নতুন করে চালু হতে যাওয়া এই রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বিমান এমডি বলেন, “পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ৪ জুন থেকে ফ্লাইট শুরু করা সম্ভব হবে।”
তবে এজন্য পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত এবং মিশরের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা ইজিপসিয়ান এয়ারওয়েজের কাছ থেকে দুটি উড়োজাহাজ ভাড়া নেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি।
কেভিন স্টিল বলেন, “আগামী পাঁচ বছরের জন্য ইজিপসিয়ান এয়ার থেকে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ লিজ নেয়ার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত।
“পরিচালনা পর্ষদের সভায় এটি অনুমোদিত হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চুক্তি হবে। সে অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ও মার্চে উড়োজাহাজ দুটি বিমান বহরে যোগ দিতে পারে।”
বিমান চলাচলের পরিভাষায় দুই ধরনের লিজ পদ্ধতি প্রচলিত আছে। এর মধ্যে ড্রাই লিজ পদ্ধতিতে দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়ায় উড়োজাহাজ আনা হয়, যাতে উড়োজাহাজের ক্রু, রক্ষণাবেক্ষণসহ সব সেবা ভাড়াগ্রহিতার দায়িত্বে থাকে। অন্যদিকে ওয়েট লিজ নামের স্বল্পমেয়াদী পদ্ধতিতে উড়োজাহাজের ক্রু ও রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্য সব সেবা ভাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকে।
এবিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের পরিচালক এস এম নাজমুল আনাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমান যদি ওয়েট লিজ পদ্ধতিতে উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনে সেক্ষেত্রে ফ্লাইট শুরু করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু চুক্তিটি ড্রাই লিজ পদ্ধতিতে হলে এখনই বিমান ফ্লাইট শুরু করতে পারবে না।
“মিশর ক্যাটাগরি ১ দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ তাদের উড়োজাহাজ ওয়েট লিজ পদ্ধতিতে ভাড়া নিয়ে নিউইয়র্ক ফ্লাইট শুরু করতে পারবে।”
বিমান ওয়েট লিজ পদ্ধতিতে উড়োজাহাজগুলো ভাড়া করার ব্যবস্থা করেছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্ক ছাড়াও আরো কয়েকটি রুটে ফ্লাইট শুরুর কথা জানান কেভিন।
“এই গ্রীষ্মে আমরা নতুন কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করেছি। এপ্রিল থেকে রোম হয়ে আমরা সপ্তাহে দুই দিন ফ্রাঙ্কফুর্ট ফ্লাইট চালাব। এজন্য আমরা কয়েক দিনের মধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।”
এছাড়া গ্রীষ্মের শেষ দিকে চীনের গুয়াংজু ও কুনমিং এবং ভারতের গুয়াহাটিতে ফ্লাইট শুরুরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বিমানের প্রথম বিদেশি এমডি।
তবে কেভিন জানান, বন্ধ থাকা অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে পুনরায় ফ্লাইট শুরু করতে আরো সময় লাগবে।