এই মজুরি দেয়ার সামর্থ্য নেই: বিজিএমইএ

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম ৫ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি দেয়ার ‘সামর্থ্য’ নেই জানিয়ে সরকারগঠিত মজুরি বোর্ডের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2013, 01:56 PM
Updated : 4 Nov 2013, 03:12 PM

সোমবার বোর্ডের সদস্যদের ভোটাভুটিতে ন্যূনতম মজুরি হিসাবে ওই অংক নির্ধারণের প্রস্তাব চড়ান্ত হওয়ার পর বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। এই বেতন দেয়ার সক্ষমতা আমাদের শিল্পের নেই।”

ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সভার পর চেয়ারম্যান এ কে রায় জানান, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রথমে ৮ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। এরপর ৬ হাজার, সাড়ে ৫ হাজার এবং সর্বশেষে ৫ হাজার ৩০০ টাকার প্রস্তাব দেয় তারা। অন্যদিকে মালিকপক্ষ প্রথমে ৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং পরে ৪ হাজার ২৫০ টাকা ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব দেয়।

“আজও মালিকপক্ষ ৪ হাজার ২৫০ টাকার প্রস্তাবে অটল থাকে। ফলে আমি বাধ্য হয়ে ন্যূনতম মজুরি বিধিমালা-১৯৬১ এর সপ্তম ধারা অনুযায়ী বিষয়টি ভোটে দেই।”

ওই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা ভোট না দিয়ে সভা থেকে বেরিয়ে যান। বোর্ডের ছয় সদস্যের মধ্যে চারজনের সমর্থন পাওয়ায় ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন পর্যবেক্ষক হিসাবে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ব বাজারে পোশাকের দাম কমছে। আবার ডলারের বিপরীতে আমাদের টাকার মান বাড়ছে। এই মুহূর্তে আমাদের ওপর এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে তা হবে আত্মহত্যার শামিল।”

মঙ্গলবার বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

প্রস্তাবিত ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরির মধ্যে মূল বেতন ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ২৮০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ৩২০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ২০০ টাকা যাতায়াত ভাতা এবং খাদ্য ভর্তুকি বাবদ ৩০০ টাকা ধরা হয়েছে।

এখন নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। আগামী ১৪ দিন এই প্রস্তাবের ওপর সব পক্ষ মতামত জানাতে পারবে। ১৫তম দিনে বোর্ড বৈঠক করে সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।  

মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই মজুরি বোর্ডের এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের আদেশ দেবে সরকার।