ইউনিয়ন করায় ৩২২ শ্রমিককে চাকরিচ্যুতির অভিযোগ

ইউনিয়ন গঠনের কারণে সাভারের কিউ পয়েন্ট ফ্যাশনসের তিন শতাধিক শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2017, 09:24 AM
Updated : 18 Sept 2017, 05:55 PM

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিজিএমইএ ভবনের সামনে লাল পতাকা হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এ অভিযোগ আনেন চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা।

গার্মেন্টসটির সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চাকরিচ্যুত শ্রমিক জুয়েল জানান, গত ৩১ অগাস্ট শ্রম দপ্তরে একটি ইউনিয়ন গঠনের আবেদন দাখিল করা হয়। এটি জানতে পেরে ১১ সেপ্টেম্বর গার্মেন্টসটি থেকে ৩২২ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়।

শ্রমিকদের দাবি, তাদের তিন মাস ১৩ দিনের বেতন এখনও পরিশোধ করেনি গার্মেন্টসটি। এছাড়া ওভারটাইম ও ছুটির টাকা দেওয়া হয়নি তাদের।

জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, “টাকা চাইলে কারখানার ডেপুটি প্রডাকশন ম্যানেজার বাবু হালদার এলাকার সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের গায়ে হাত তুলে, ভয় দেখায়।”

এছাড়া নিয়োগপত্র না দিয়েই শ্রমিকদের কাজ করানো, ‘ইচ্ছামত’ অব্যাহতি দেওয়া, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি না দিয়ে উল্টো চাকরিচ্যুত করা, শ্রমিকদের প্রাপ্য ছুটি না দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এভাবে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করতে পারে না।

“এছাড়া আন্দোলন করলে নারী শ্রমিকদের আটকে রাখা, গায়ে হাত তোলাসহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাই এখানে আমাদের অভিযোগ জানাতে এসেছি।”

এ বিষয়ে কথা বলতে কিউ পয়েন্ট ফ্যাশনসের ডেপুটি প্রডাকশন ম্যানেজার বাবু হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি কারখানাটিতে কাজ করেন না দাবি করে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

পরে কারখানা থেকে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি দাবি করে বাবু হালদার বলেন, “ওরা যেসব অভিযোগ এনেছে, সবই ভুয়া।”

বিষয়ে শ্রম দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে ইউনিয়ন গঠন করতে কিউ পয়েন্ট ফ্যাশনস কারখানার শ্রমিকদের একটি আবেদন পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে দপ্তরের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী যেসব কর্মচারী আবেদন করেছেন, তাদের ইউনিয়ন গঠনের জন্য বাধা দেওয়া কিংবা শুধুমাত্র এ কারণে চাকরিচ্যুত করতে পারে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। যদি করে থাকে তাহলে আমরা অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেব।”