বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের নজরদারির বাইরে গিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে তা সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বেসামরিক ও সামরিক সংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক আজাদ দেশের শিল্প কারখানায় রাসায়নিকের নিরাপদ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ কাজে রাসায়নিকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কেমিক্যালের অপব্যবহার রোধ করতে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে লাইসেন্সধারী হতে হবে, যাতে কোনো দুর্ঘটনার পর সহজেই তাদের খুঁজে পাওয়া যায়।
“শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত শতভাগ রাসায়নিক আমদানি করা হয়। এক্ষেত্রে কাস্টমস অফিসেরও দায়িত্ব রয়েছে। যারা রাসায়নিক আমদানি করছে তাদের লাইসেন্স আছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের। যারা রাসায়নিকের ব্যবসা করেন তারাও এর অপব্যবহারের বিষয়ে নাজদারি করবেন, কেউ অন্য উদ্দেশ্যে এসব কিনছে কি না। অথবা শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্ট নয় এমন কেউ রাসায়নিক কিনছে কি না এটা দেখা তাদের দায়িত্ব।”
শিল্প কারখানায় বিপজ্জনক রাসায়নিকের নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই আলোচনার আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
দেশের রাসায়নিক, বস্ত্র, ওষুধ, চামড়া, ডায়িং, প্লাস্টিক খাতসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতগুলোর প্রতিনিধি ও এফবিসিসিআইয়ের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফসহ বেশ কয়েকজন পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনএসিডব্লিউসি’র জেনারেল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফুন নাহার রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তি পর্যালোচনা, বিএনএসিডব্লিউসি’র কার্যক্রম, বিধিমালা ও লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি ইত্যাদির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।
মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন শিল্প খাতের প্রতিনিধি বিভিন্ন রাসায়নিক আমদানি ও এর ব্যবহার নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ বলেন, “একটি কেমিক্যাল একই সঙ্গে ভালো কাজে আবার জনমানুষের জন্য ক্ষতিকর কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। এর অপব্যবহার নিয়ে যা ঘটে তা কেবল সচেতনতার অভাবে। তাই কোনো ব্যবসায়ী আইনের ব্যত্যয় ঘটালে তাকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির বিষয়েও নজর দিতে হবে।”
আরেক রাসায়নিক ব্যবসায়ী বলেন, “অজ্ঞতার কারণে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনেক সময় রাসায়নিককেন্দ্রিক অপরাধ ঘটে। এজন্য কর্তৃপক্ষ সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে পারে।
“কেমিক্যাল ব্যবসার আরেক সমস্যা মিস ডিকলারেশন। কর্তৃপক্ষের আধুনিক ল্যাব নেই। তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা সহজেই এর সুযোগ নিয়ে এক কেমিক্যালের কথা বলে অন্যটি নিয়ে আসেন। কর্তৃপক্ষের উচিত এসব দিকে নজর দেওয়া।”