আইইউবিতে ‘বিকাশের সাফল্যের’ গল্প

ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের সাফল্যের গল্প শুনিয়েছে মোবাইলে অর্থ লেনদেনের কোম্পানি ‘বিকাশ’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2017, 11:44 AM
Updated : 13 July 2017, 02:14 PM

বৃহস্পতিবার আইইউবি মিলনায়তনে ‘ফিনটেক: দ্য বাংলাদেশ স্টোরি’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষার্থীদেরকে বিকাশের সাফল্যের গল্প শোনান প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘স্কুল অব বিজনেস অব ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে’র (আইইউবি) ফাইন্যান্স বিভাগ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিকাশ প্রতিনিধিদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য দেন স্কুল অব বিজনেসের ডিন অধ্যাপক সারোয়ার উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “দেশে যারা মোটামুটি শিক্ষিত বা যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারা হয়তো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। কিন্তু একেবারে প্রত্যন্ত এলাকার রুট লেভেল পযর্ন্ত সব মানুষের হাতেই পৌঁছে গেছে মোবাইল ব্যাংকিং। আর এ ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য দেখিয়েছে বিকাশ।”

বিকাশের জেনারেল ম্যানেজার (অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট) সাঈদ নাসির বলেন, “বাংলাদেশ তো বটেই, বিকাশ এই মুহূর্তে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি। এই মুহূর্তে ২৭ মিলিয়ন গ্রাহক বিকাশ সেবা গ্রহণ করছেন।”

আইইউবি’র ফাইন্যান্স বিভাগে অধ্যয়নরত ‍শিক্ষার্থীদের জন্য বিকাশে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ইতোপূর্বে আইইউবির বেশ কয়েকজন ছাত্র বিকাশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আজকের ছাত্র, আগামীতে তাদের জন্যও বিকাশে কাজের সুযোগ রয়েছে।”

সেমিনারে ফিনটেক (ফাইন্যান্স ও টেকনোলজি) ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে আইইউবি শিক্ষার্থীদের ধারণা দেন বিকাশের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রোডাক্ট অ্যান্ড সিএমএল)।

তিনি বলেন, ফিনটেক টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রির জগতে পৃথিবীতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বিকাশ। সে কারণেই আজকের সেমিনারে শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ফিনটেক: দ্য বাংলাদেশ স্টোরি’।

বিকাশের হেড অব ট্রেজারি আদনান মেহেদী বলেন, “‌আমাদের সমাজে বিকাশ কীভাবে কাজ করছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রায় ২৭ মিলিয়ন গ্রাহক বিকাশের সেবা নিচ্ছেন। সারা দেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার এজেন্ট রয়েছে বিকাশের।”

সেমিনারে আইইউবির ফাইন্যান্স বিভাগের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।