নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) ও ডিজিটাল সেবার উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে ভিওন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিন-এভস চার্লিয়ার জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সফররত ভিওনের সিইও বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
“বাংলালিংক ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। উপযোগী বিনিয়োগ ও নীতিমালা বিদ্যমান থাকলে আগামী তিন বছরে আরো এক বিলয়ন ডলার বিনিয়োগের ইচ্ছা আমাদের আছে।”
তিনি বলেন, বাংলালিংককে দেশের শীর্ষস্থানীয় যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আগ্রহী ভিওন।
সম্প্রতি প্রকাশিত টু জি ও থ্রি জি তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দ এবং ফোরজি সেবার খসড়া নীতিমালার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিওন সিইও বলেন, “টেলিযোগাযোগ খাতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ করহার এবং তরঙ্গের উচ্চমূল্যের সম্মিলিত অর্থনৈতিক চাপ বিনিয়োগের অন্তরায় এবং তা বিবেচনায় আনা উচিত।”
“এটি দেশব্যাপী থ্রিজি ও ফোরজি চালুর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে প্রভাবিত করবে, যা উন্নত গ্রাহক সেবার অন্তরায়।”
যত দ্রুত সম্ভব তরঙ্গ নিতে বাংলালিংক নীতিনির্ধারকদের সাথে একত্রে কাজ করতে ভিওন আগ্রহী বলেও জানান চার্লিয়ার।
বাংলাদেশে মোবাইল টাওয়ার ব্যবসায় অধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোম্পানির অংশগ্রহণ করা উচিত বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস, বাংলালিংকের সিনিয়র ডিরেক্টর অব জিআর অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান ও হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস্ আসিফ আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে বাংলালিংকের ৩ কোটি ২০ লাখের বেশি গ্রাহক রয়েছে। এটি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক কোম্পানি ভিওন লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।