তুলনামূলক কম দামের পোশাকের সমারোহের জন্য পরিচিত সায়েন্স ল্যাব থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট পর্যন্ত মার্কেটগুলো বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরব হয়ে উঠে।
ঢাকা কলেজের উল্টো দিকে সড়কের পাশ ধরে গ্লোব মার্কেট, বদরুদ্দোজা মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, নিউ মার্কেটের উত্তর পাশের চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এবং কাছাকাছি এলাকার ইস্টার্ন মল্লিকা ও জাহাজ মসজিদ মার্কেটসহ এ অঞ্চলের পোশাকের দোকানগুলো দিনভর ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
“গত দুই দিন ধরে নিউ মার্কেট এলাকায় আসতে চাইলেও বৃষ্টির কারণে সুবিধা করা যায়নি। তবে আজও প্রচণ্ড ভিড়ের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এবার ঈদের কেনাকাটা একটু আগে থেকেই শুরু হয়েছে মনে হয়।”
সকাল থেকেই বেচা-বিক্রিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের শাড়ির দোকানিরা।
‘সামহা জামদানি ওয়ার্ল্ডের’ পরিচালক জিএম ইকবাল জানান, প্রথম ১০ রোজায় ক্রেতা পাননি তারা। তবে গত দুদিন ধরে বেচাকেনা বেশ ভালো। ছুটির দিনে আরও ভালো কিছু আশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, “ভিড় আরও হতে পারত, বেচাকেনাও আরও বাড়ত।কিন্তু আমাদের দামি ক্রেতারা এখন ইন্ডিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ভিসা সহজ করার বড় প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারে।”
শাড়ির আরেক দোকান জামদানি কর্নারের বিক্রয়কর্মী শরীফ বলেন, শহরের মানুষ সাধারণত বিয়ের অনুষ্ঠান আর ঈদের মৌসুমে শাড়ি কেনেন। তাই ঈদকে বিক্রি আর লাভের বড় একটা উপলক্ষ মনে করেন তারা।
গত কয়েকদিন ধরে বেচাবিক্রি বেশ জানিয়ে তিনি বলেন, “অতিবৃষ্টি না হলে আরও ক্রেতা আসবেন। বিশেষ করে শুক্রবার ছুটির দিনে।”
তিনি বলেন, ঈদে সবার জন্যই কিছু না কিছু কেনাকাটা করতে হয়। নিউ মার্কেট এলাকায় যাচাই-বাছাই ও দরদাম করে কেনার সুযোগ আছে। তাই একটু ভিড় হলেও অনেকে এখানে কেনাকাটা করতে আসেন।
“আর নিউ মার্কেট এলাকায় পাশাপাশি অনেকগুলো মার্কেট। তাই শাড়ি, পাঞ্জাবি, কসমেটিকস, দেশ-বিদেশি থ্রি পিস পাওয়া যায়। সস্তা ও বেশি দামি সব পণ্যই এখানে আছে। সম্ভবত সেকারণেই এদিকে ক্রেতাদের ঝোঁক।”
ঈদ ক্রেতাদের ভিড়ে প্রায় প্রতিদিন বিকালের দিকে যানজট হচ্ছে ওই এলাকার সড়কগুলোতে।নিউ মার্কেটের সামনের সড়কের পাশাপাশি বাটা সিগন্যালেও দীর্ঘ যানজট হচ্ছে।