আপন জুয়েলার্সের প্রায় সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দের পর সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বাজুস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে নজিবুর রহমান বলেন, “সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকে সৎ ও সুনামের সাথে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
“সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ এবং অনুসন্ধানে প্রাপ্ত পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হবে না।”
বনানীর হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের পরিবারের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্সের ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
এরপর এনবিআর ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠক করলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান উপস্থিত ছিলেন।
অপরপক্ষে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, সহ-সভাপতি এনামুল হক দোলন, সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে স্বর্ণ ব্যবসায় বর্তমান সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে এনবিআর’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুম থেকে চোরাচালানের দায়ে শুল্ক গোয়েন্দারা প্রায় ১৫ দশমিক ১৩ মণ স্বর্ণ আটকের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পর্যায়ে ‘ভুলভাবে বার্তা যাওয়ায়’ সাধারণ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেন বাজুস নেতারা।
এই প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপন জুয়েলার্সের শো-রুমগুলোতে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান এবং চোরাচালানের দায়ে সোনা আটক ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে’ হয়েছে।
“এটাকে কেন্দ্র করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
এনবিআর সব সময় সাধারণ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।