একই সময়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রবি জমা দিয়েছে ৬৮০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম প্রান্তিকের ব্যবসায়িক ফলাফল তুলে ধরে রবি বলছে, অতিরিক্ত করের চাপ এবং কোম্পানি পরিচালনায় বিপুল পরিমাণ ব্যয়ের কারণে টেকসই বিনিয়োগে উৎসাহ হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।
কোম্পানিটির ব্যবসায়িক ফলাফলে বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট রাজস্ব অর্জনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। গত প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৬) থেকে এ প্রান্তিকে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ছিল ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশজুড়ে ২.৫জি/৩.৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃতিতে রবির মূলধনী বিনিয়োগ ৪১০ কোটি টাকা।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লাখ। দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ এখন রবি নেটওয়ার্কে।
এক নজরে ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকের ব্যবসায়িক ফলাফল
>>এয়ারটেল নেটওয়ার্কে বাড়তি ব্যয়ের কারণে মোট ক্ষতির পরিমাণ ১৭০ কোটি টাকা
>>মোট রাজস্ব অর্জনের পরিমাণ ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা, গত প্রান্তিক থেকে এ প্রান্তিকে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ
>>রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা ৬৮০ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্বের ৪৪ শতাংশ
>>দেশজুড়ে ২.৫জি/৩.৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃতিতে মূলধনী বিনিয়োগ ৪১০ কোটি টাকা
>>২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লাখ
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে বিস্তৃত মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ এবং সেরা মোবাইল ফোন সেবা প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে ২০১৭ সালের শুরু। ইতোমধ্যে আমরা ১২টি অঞ্চলে রবি-এয়ারটেল নেটওয়ার্কের সমন্বয় করেছি, যার আওতায় রয়েছে দেশের ৫০ শতাংশ এয়ারটেল গ্রাহক।”
তিনি বলেন, “২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকেও আমরা সবচেয়ে উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য এবং সেবা চালু করা অব্যাহত রেখেছি। ‘ইয়োলো’ নামে সোশ্যাল সার্কেল তৈরি করেছি; এর মাধ্যমে এয়ারটেল ব্র্যান্ডের তরুণ গ্রাহকদের আরো কাছে রাখছি আমরা। এ সার্কেলের গ্রাহকরা অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যের কল রেট ও ইন্টারনেট প্যাক উপভোগ করতে পারছেন।”
রবি সিইও বলেন, “আমরা গ্রাহকদের জন্য সহজে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ইজিলোড করা ও ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ‘রবিক্যাশ’ নামে একটি ব্যবহার-বান্ধব অ্যাপ চালু করেছি।”