সোনা আমদানি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি

শুল্ক গোয়েন্দাসহ অন্যান্য সংস্থার অভিযানে আটক সোনা নিয়মিতভাবে নিলাম এবং বাণিজ্যিকভাবে তা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2017, 04:40 PM
Updated : 17 May 2017, 04:40 PM

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতিকে এই চিঠির অনুলিপি পাঠিয়েছেন তারা।

চিঠিতে বলা হয়, “চোরাচালানোর দায়ে আটক সোনা ও বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা এবং পরবর্তীতে বাজেয়াপ্ত করা সোনা নিলামে বিক্রি করার বিধান রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ধরনের বাজেয়াপ্তকৃত সোনার নিলাম অনুষ্ঠিত হয়নি।

“ফলে এসব সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে জমা পড়ে আছে। সোনা ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশের ভেতরের উৎস থেকে বৈধ সোনা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তাদের ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”

শুল্ক গোয়েন্দারা সম্প্রতি বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে পাঁচশ কেজি সোনা আটক করেন। এরপর মূল্যবান এই ধাতু আমদানিতে প্রক্রিয়াগত জটিলতার কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বলছে, বাজুস নেতারা দীর্ঘদিন ধরে ‘বাংলাদেশে বৈধ সোনা সরবরাহের ব্যবস্থা করার’ দাবি করছেন।

“এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা রাজস্ব বোর্ড ও শুল্ক গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে আলোচনা করেন।”

নিজের কার্যালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মইনুল খান বলেন, “বাংলাদেশে সোনা আমদানি নিষিদ্ধ না। এটার যেন অবাধ প্রবাহ থাকে সেজন্য আমদানি নীতি রয়েছে। সেটা হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো পরিমাণ সোনা আনতে পারবেন বা কিনতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি যেন সহজলভ্য হয় এবং আবেদন যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয় সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি বিবেচনা করবে।”

সোনা ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা যেখানে অভিযান পরিচালনা করেছি তা একেবারেই সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে। এখানে অন্য ব্যবসায়ীদের প্যানিকড হবার কোনো কারণ নাই।”

এতদিন আটক হওয়া সোনা নিলামের উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করার কথা জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “আশা করছি, এখন থেকে বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানির নীতি সহজ হবে। এতে সোনা ব্যবসার বিষয়টা স্বচ্ছ হবে। এতে সোনার ব্যবসার অস্বচ্ছতার বিষয়টা থাকবে না। কেউ দাবি করতে পারবে না- সোনা আমদানি করা যায় না।”