এফবিসিসিআই নির্বাচনে চেম্বার গ্রুপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ভোটেও জয় পেয়েছে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ।
Published : 15 May 2017, 12:16 AM
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুধু অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ভোটগ্রহণ চলে।
নির্ধারিত ১৮টি পদের জন্য ভোট দেন ১ হাজার ৬৬৮ জন। মোট ভোটার ছিলেন এক হাজার ৮৯৮ জন।
রাতে ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, গণতান্ত্রিক পরিষদের ১৬ জন বিজয়ী হয়েছেন। ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম থেকে জয়ী হয়েছেন দুজন।
গণতান্ত্রিক পরিষদ থেকে বিজয়ীরা হলেন খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, এসএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাফকাত হায়দার, আবুল আয়েস খান, মুনতাকিম আশরাফ, নিজামুদ্দিন আহমেদ, আমজাদ হোসাইন, শফিকুল ইসলাম ভরসা, আবু মোতালেব, হাবিবুল্লাহ ডন, খন্দকার রুহুল আমিন, নিজামুদ্দিন রাজেশ, হাফেজ হারুন, শমী কায়সার, আবু নাছের ও রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি।
এদের মধ্যে খন্দকার রুহুল আমিন সর্বোচ্চ ১২০৬ ভোট পেয়েছেন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৯৫ ভোট পেয়েছেন আবু মোতালেব।
ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম থেকে বিজয়ীরা হলেন কাজী এরতেজা হাসান (১০০১ ভোট) ও হেলেনা জাহাঙ্গীর (৯৮৪ ভোট)।
গণতান্ত্রিক পরিষদ থেকে হেরেছেন আনোয়ার হোসাইন (৬৮৩ ভোট) এবং আব্দুল হক (৯০৭ ভোট)।
এ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ।
এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২০১৭-১৯ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত হবে।
এফবিসিসিআইয়ের ৬০টি পরিচালক পদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১২ জন করে মোট ২৪ জন পরিচালক মনোনীত হন।
বাকি ৩৬টি পদে সরাসরি নির্বাচনের নিয়ম রয়েছে সংগঠনের গঠনতন্ত্রে। এর মধ্যে চেম্বার গ্রুপে ১৮টি এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ১৮টি পদ।
চেম্বার গ্রুপে এবার সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
নির্বাচিত পরিচালকরা আগামী মঙ্গলবার প্রথম সভায় বসে সভাপতি ও দুই সহসভাপতি নির্বাচন করবেন।
পোশাক ব্যবসায়ী সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনই এবার একমাত্র সভাপতি প্রার্থী।