বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা শাখার (বিএফআইইউ) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা বলেন, “আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দারা বেশ কয়েকদিন ধরে কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে তাদের লেনদেনের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোর কাছে।
“শুধু ব্যাংক হিসাবই নয়, প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছেলের পক্ষে দিলদার সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার পর ফেইসবুকে তার বিরুদ্ধে সরব হন অনেকে। দেশের শীর্ষস্থানীয় অলঙ্কার ব্র্যান্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালানের অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ।
দিলদারের বড় ছেলে সাফাতের জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে বনানী থানায় একটি মামলা হয় শনিবার। এই মামলার অপর আসামিদের মধ্যে দুজন সাফাতের বন্ধু, বাকি দুজন তার দেহরক্ষী ও গাড়িচালক।
ধর্ষিতা এক ছাত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধর্ষণের পর সাফাত তাকে বলেছিলেন, তারা সোনা চোরাচালান করেন। দুই একটা খুন বা ধর্ষণ করে পুলিশকে টাকা দিলে তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না।”