সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দিয়েছে।
‘পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি ঋণ আদায় স্থগিত করার পাশাপাশি সহজ কিস্তি আদায়ের মাধ্যমে ঋণ নিয়মিতকরণ বা ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ’ করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানি ও ভারি বর্ষণে সৃষ্ট আগাম বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “বিশেষ করে হাওরাঞ্চলের প্রধান ফসল বোরো ধান ও অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা অতিশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কাঁচা-পাকা ধান পানিতে পঁচে পানিদূষণ জনিত কারণে মৎস্য সম্পদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
আকস্মিক এই বন্যা মোকাবেলায় কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতার জন্য ঋণ আদায় স্থগিতের সঙ্গে আরও কিছু পদক্ষেপ দ্রুত নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল ও মৎস্য খাতে প্রকৃত চাহিদা ও বাস্তবতার নিরিখে নতুন ঋণ বিতরণ এবং রবি শস্য ও আমদানি বিকল্প ফসলে (ডাল, তেলবীজ, মসলা ও ভুট্টা) রেয়াতি হারে সুদে ঋণ দেওয়া বাড়াতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
এই কৃষকদের বিরুদ্ধে চলমান সার্টিফিকেট মামলাগুলো বন্ধ রেখে ‘সোলেনামার’ মাধ্যমে সেগুলো নিষ্পত্তি করার এবং নতুন করে কোনো সার্টিফিকেট মামলা না করতে নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী যথাসময়ে কোনো হয়রানি ছাড়া নতুন ঋণ সুবিধা নিতে পারে সে বিষয়ে নিবিড় তদারকি করতে হবে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বসতবাড়ির আঙিনায় হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালন, গো-খাদ্য উৎপাদন ও ক্রয় খাতে ঋণ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে বলেছে।