সামরিক কেনাকাটায় ভারতের ৫০ কোটি ডলার

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে ভারত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2017, 10:25 AM
Updated : 8 April 2017, 03:00 PM

শনিবার নয়া দিল্লিতে হায়দ্রাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শীর্ষ বৈঠকে এই সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়, যা নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে।

বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের জন্য ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা ঘোষণা করেন, যার ৫০ কোটি ডলার প্রতিরক্ষা খাতের।

প্রতিরক্ষা খাতে ঋণের কেনাকাটায় বাংলাদেশের চাহিদা প্রাধান্য পাবে বলে ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনার এই সফরে তিস্তা চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর প্রতিরক্ষার সমঝোতা স্মারক নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব খর্বের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

ভারতের কাছ থেকে সমরাস্ত্র কেনা নিয়েও বিরোধিতা রয়েছে বিএনপির। তারা বলছে, ভারতের সমরাস্ত্র মানম্মত নয়।

তবে বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, এই ঋণের অর্থে ভারতীয় সরঞ্জাম কেনাকাটার বাধ্যবধকতা নেই।

বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মোদী উগ্রবাদ ও চরমপন্থা থেকে জনগণকে রক্ষা করে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দুদেশের অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “এগুলোর বিস্তার শুধু ভারতের ও বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো এই অঞ্চলের জন্য হুমকি তৈরি করেছে।”

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ‘বিন্দুমাত্র ছাড় নয়’ নীতির প্রশংসা করেন মোদী।

তিনি বলেন, “আমাদের জনগণ ও এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন আমাদের সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকবে বলে আমরা একমত হয়েছি।

“আমাদের সশস্র বাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তি সই করে আজ আমরা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”

সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে দুই দেশের দৃঢ অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনাও।

দুই দেশ সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।