বুধবার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্যে ‘গ্লোবাল প্লেয়ার’ হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে এগুচ্ছে। সেজন্য দেশে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করতে আইন পাস করা হবে।”
ব্যবসার প্রসারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদেরও সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন আমিনুল ইসলাম।
“সরকার উদ্যোগী হওয়া মানেই ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি হওয়া নয়। বিনিয়োগকারীদেরকেও ব্যবসার জন্য একটা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চলাতে হবে। পৃথিবীতে থেকে চাঁদে বসবাসের পরিকল্পনার মতো সুদূরপ্রসারী সাহস ও উদ্যোগ দেখাতে হবে।”
বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের বড় বাজার হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই বাজার আরও বড় হবে।
“বিডা লোকাল কনজাম্পশন বাড়ানোর পাশাপাশি গ্লোবাল প্লেয়ার হওয়ার যোগ্যতাগুলো তৈরির করার লক্ষ্যে কাজ করবে।”
সরকার ২০২১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তা বাস্তবায়নে এই কাজগুলো খুবই প্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনারে ‘রোল অব বিডা অ্যান্ড প্রপোজস ওয়ান স্টপ সার্ভিস: ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেনআইবিএফবির পরিচালক এম এস সিদ্দিকী।
এনার্জিপ্যাকের হুমায়ুন রশিদ বলেন, বিনিয়োগবান্ধব এলাকাগুলোতে সবাই প্রতিযোগিতা করলেও প্রান্তিক অঞ্চলে বিনিয়োগে কারও নজর নেই। প্রান্তিক অঞ্চলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝামেলাও অনেক বেশি। সুষম উন্নয়নের জন্য সরকারের উচিত এ ধরনের বিনিয়োগে বিশেষ সহযোগিতা দেওয়া।
উত্তরা মটরসের মতিউর রহমান বলেন, বিডা যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে তার সঙ্গে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় যুক্ত। এই সেবা যাতে বিনিয়োগকারীদের কল্যাণে আসে যেজন্য মন্ত্রণালয়গুলোকেও আন্তরিক হতে হবে।
“সরকারের পোর্টালগুলোতে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো নিয়মিত আপডেট হচ্ছে না। অথচ নতুন নতুন তথ্য বিনিয়োগের জন্য খুবই প্রয়োজন। বিডাকে তথ্য আপডেট করার দায়িত্বও নিতে হবে,” বলেন মতিউর।