বুধবার বেলা ১১টা থেকে মোতালেব প্লাজার পঞ্চম তলায় বিটিআরসির সহয়োগিতায় এই অভিযান শুরু করে র্যাব।
সন্ধ্যায় বাহিনীটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
বাজারে থাকা হ্যান্ডসেটের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ অবৈধ বা নকল দাবি করে এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দেশের হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের অভিযোগের মধ্যে এই অভিযান শুরু হলো।
র্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানের সময় দেখা যায় বিদেশ থেকে আমদানি করা নিম্ন মানের মোবাইল যন্ত্রাংশ সংযোজন করে আইফোন, স্যামসং, এইচটিসি, সনি ও নকিয়াসহ প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে বিভিন্ন দোকান ক্রেতাদের প্রতারিত করে আসছে।
বিটিআরসির বিশেষজ্ঞ দল আইএমইআই পরীক্ষা করে এসকল মোবাইল ফোন নকল হিসেবে চিহ্নিত করে।
এসব মোবাইল ফোন বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বাজারজাত করার কথা জিজ্ঞাসাবাদে বিক্রেতারা স্বীকার করে বলে জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
এসব অপরাধে এসএস টেলিকমের মালিক মো. আশরাফুল আলমকে নয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আর মোল্লা টেলিকমের মালিক মো. জুয়েল মোল্লাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, বিসমিল্লাহ মোবাইল সেন্টারের মালিক মো. সেলিম হোসেনকে তিন মাসের কারাদণ্ড ও নূরজাহান টেলিকমের মালিক মো. কামাল সরকারকে এক বছর ছয় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া আরও প্রায় ২০টি দোকানের মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে মোট ৩২ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
এর আগে সকালে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে এ অভিযান চালানোর বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
ওই সময় তিনি বলেন, “বিটিআরসির কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই অভিযানে রয়েছে। রাজধানীতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং শিগগিরই সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এ অভিযান চলছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান।
অভিযানে র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ আলী, এএসপি মো. শহীদুল ইসলাম, এএসপি অহিদ উল্লাহ, বিটিআরসি’র স্পেকটার্ম ডিভিশনের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সূফী মো. মইনুদ্দীনসহ বিটিআরসি’র ১২ সদস্যের বিশেষ দল উপস্থিত ছিল।
আমদানি নীতি আদেশ ২০১২-১৫ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী যে কোনও প্রকার বেতার যন্ত্রপাতি (যেমন: মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট, সিমযুক্ত ট্যাবলেট পিসি, ওয়াকি-টকি, বেইস, রিপিটার, ফিক্সড ওয়ারলেস ফোন, মডেম, ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) রিসিভার ও অ্যান্টেনা, স্যাটেলাইট টিভি রিসিভার ইত্যাদি ও অন্যান্য বেতারযন্ত্র) আমদানির ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।