কার্গো নিষেধাজ্ঞা: দ্রুত সমাধানের আশ্বাস জার্মান রাষ্ট্রদূতের

‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি পণ্য পরিবহনে জার্মানি যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সে বিষয়ে শিগগিরই একটি সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিঞ্জ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 01:16 PM
Updated : 28 June 2016, 01:16 PM

বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কার্গো সমস্যা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না, কারণ আমি এখনো ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চিঠি পাইনি। কিন্তু আমি জানি, এ বিষয়টি দেখতে এবং সমাধান বের করতে লুফথানসা কার্গোর একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে (ঢাকায়) এসেছে। যত দ্রুত সম্ভব  আমরা এটা নিয়ে কাজ করব।”

গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া ও মার্চে যুক্তরাজ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে’ ঘাটতির কথা বলে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

একই কারণ দেখিয়ে জার্মানির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষও সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আকাশপথে পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জার্মানির লুফথানসা এয়ারলাইনস রোববার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের পণ্য পরিবহন (কার্গো) ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিকারকদের মধ্যে একক দেশ হিসেবে জার্মানি দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা বলে দেশটির ওই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ, যা গণমাধ্যমেও এসেছে।

অবশ্য জার্মান রাষ্ট্রদূত মনে করছেন, শাহজালাল থেকে সরাসরি কার্গো পাঠানোর ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, কেননা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির মূল অংশটি চট্টগ্রাম দিয়ে জাহাজে করে যায়।

এরপরও জার্মানি দ্রুত শাহজালালের বিষয়টির সমাধান করতে চায় বলে থমাস প্রিঞ্জ জানান।   

অবশ্য জার্মানির ওই সিদ্ধান্তকে ‘নিষেধাজ্ঞা’ বলতে রাজি নন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

তার ভাষায়, “তারা কিছু শর্ত দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলার অনুরোধ করেছে।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “একটি জার্মান বিমান সংস্থা দাবি করেছে, তাদের ইনটেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে পণ্য পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।”

যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে এই জোটের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য কতোটা প্রভাবিত হবে- এমন প্রশ্নে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, “যোগাযোগটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে। এখন ইইউ থেকে একটা দেশ চলে গেলে কোনো প্রভাব পড়বে না। ইউকে ভবিষ্যতে ইইউর বাইরে চলে গেলে তাদের মার্কেটে ব্যবসা করতে হয়ত বাংলাদেশকে সমঝোতা করতে হবে। কিন্তু এ মুহূর্তে কোনো প্রভাব পড়বে না।”