আসছে অর্থবছরের বাজেটে উৎসে করহার বাড়ানোর প্রস্তাবে উদ্বেগ জানিয়েছে নিট পোশাক সংশ্লিষ্ট শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ।
Published : 05 Jun 2016, 07:54 PM
এই প্রস্তাব পাস হলে নিটিং শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্যও চাপের মুখে মধ্যে ফেলবে বলে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেটে রপ্তানিপণ্যে উৎসে কর দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এক দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান বলেন, এবারের বাজেটে উৎসে কর কর্তনের হার দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে, যা তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের আশাহত এবং উদ্বিগ্ন করেছে। একইসঙ্গে এই শিল্পের ভবিষ্যতকে হুমকির সম্মুখীন করেছে।
গত ২/৩ বছরে নিটিং শিল্প নতুন নতুন বাজার ধরতে পেরেছে দাবি করে তিনি বলেন, “উৎসে কর কর্তনের হার বৃদ্ধি নতুন বাজারে রপ্তানির পরিমাণ এবং বাজার বিস্তৃতির যে ধারাবাহিক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাকে বাধাগ্রস্ত করবে।”
রপ্তানিপণ্যের বিক্রয় মূল্যের ওপর উৎসে কর আরোপ করা হয়ে থাকে, যাতে লভ্যাংশের হ্রাস/বৃদ্ধি ভূমিকা রাখে না।
সেলিম বলেন, অধিকাংশ শিল্প মালিক ৬ থেকে ৮ মাস আগে পরবর্তী বছরের রপ্তানি আদেশ চূড়ান্ত করে। ফলে উৎসে কর বৃদ্ধি করলে তা শিল্প উদ্যোক্তাদের মুনাফাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
“এই অবস্থায় উৎসে কর কর্তনের হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব ছোট ও মাঝারিসহ সব নিট শিল্প কারখানাকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিতে পারে।”
এছাড়া বাজেটে করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানেয় আরও কমানোর দাবি তুলেছে বিকেএমইএ।
“প্রস্তাবিত বাজেটে কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামানো হয়েছে, এ জন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তবে এই হ্রাসকৃত করের হার এখনো পর্যন্ত আমাদের প্রস্তাবিত হারের চেয়ে অধিক। নিট শিল্প খাতের জন্য উৎসে কর বর্তমানে চলমান দশমিক ৬ শতাংশ বহাল এবং কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ এর অধিক না করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন রাখছি।”
এছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্কহার ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করায় নিট শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি ক্রেতাদের মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে বিকেএমইএর শঙ্কা।
অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত যন্ত্রাদি এবং প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসের উপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক পুরোপুরি উঠিয়ে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে বিকেএমইএ।