এগুলো ‘এখনি নিস্ক্রিয়’ না করতে অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
বুধবার রাত দেড়টার দিকে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ‘জানিয়ে দেওয়া হয়েছে’ বলে বিটিআরসি’র এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, রোমিং সংযোগ ব্যবহারকারী গ্রাহক দেশে ফেরার পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের জন্য সাত দিন সময় পাবেন। এর মধ্যে তাকে আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে।
নিবন্ধনের সময় গ্রাহককে পাসপোর্ট ও দেশে ফেরার বিস্তারিত কাগজপত্র দেখাতে হবে বলেও ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
বিটিআরসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে কাজ করা ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রায় ৯০০ সংযোগ দেশের বাইরে ‘রোমিং’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার বেশিরভাগই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়নি।
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের সময় পেরোনোয় মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো অনিবন্ধিত প্রায় আড়াই কোটি সিম বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অপারেটররা অনিবন্ধিত মোবাইল সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে কয়েকটি অপারেটর জানিয়েছে, অনিবন্ধিত সিম বন্ধে তাদের দুই দিনের মতো সময় লেগে যেতে পারে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি ২০ লাখ সিমের মধ্যে ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত ১০ কোটি ৮১ লাখ ৮ হাজার ১৩৮টি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে।
এই হিসাবে প্রায় আড়াই কোটি সিম নিষ্ক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।