বৃহস্পতিবার এই দুই দেশের নতুন দূত মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর তিনি সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
বেলা ১২টার দিকে স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত জোযেফ দ্রোফেনিকের সঙ্গে মন্ত্রী বৈঠক করেন। তিনি বের হয়ে যাওয়ার পর হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূত গুইলা পেথোর সঙ্গে বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “এই দুই দেশের সঙ্গে আমরা বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চাই, তারাও বাড়াতে চায়। এই জন্যই আজকের এই বৈঠক।
“এক সময় রাজনীতিতে ছিল- সোভিয়েত ব্লক, মার্কিন ব্লক। এখন কোনো ব্লক নাই, অর্থনীতিই রাজনীতির উপর কাজ করে।”
তোফায়েল বলেন, “স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত আমাকে তাদের দেশে দাওয়াত দিয়েছে, আমি যেন একটা ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল নিয়ে স্লোভেনিয়া যাই। আমাদের ঢাকা আন্তর্জাতিক মেলার মতো তাদের ওখানেও মেলা হয়। সেখানে যেন আমরা অংশ নেই। এ জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা তারা আমাকে দেবে।”
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের (এফবিসিসিআই) একটি প্রতিনিধি দল সেখানে গেলে তা বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
“তাদের ব্যবসায়ীদেরকেও আমাদের দেশে আসতে আমন্ত্রণ জানাব। উভয় দেশকে আমরা বলেছি, আমাদের এখানে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ। তোমরা এখানে বিনিয়োগ করতে চাইলে প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা দেব।”
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ হাঙ্গেরিতে ৮ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। একই সময়ে আমদানি করে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।
একই সময়ে বাংলাদেশ স্লোভেনিয়াতে ৩৬ দশমিক শূণ্য ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, আমদানি করেছে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।
মন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে স্লোভেনিয়া সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সমর্থন দিয়েছে। আর হাঙ্গেরি যুদ্ধকালে সহায়তা দিয়েছে, যুদ্ধ শেষেও স্বীকৃতি দিয়েছে।