রবি-এয়ারটেল একীভূত: গণশুনানি ও সমীক্ষার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

মোবাইল অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, এ বিষয়ে সমীক্ষা প্রতিবেদন ও গণশুনানির উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2016, 11:21 AM
Updated : 11 Feb 2016, 11:21 AM

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)’ এর ওয়েবসাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ব্যবসা এক করতে ইতোমধ্যে রবি ও এয়ারটেল চুক্তি করেছে। সরকারের অনুমোদন পেলে তাদের এই প্রক্রিয়া কার্যকর হবে।   

এই বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যে চুক্তিটা হয়েছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। মার্জারের বিষয়ে তারা অনুমোদন চেয়েছে। অভ্যন্তরীণ চুক্তির বিষয়ে অনুমোদনের দরকার নেই।

নীতিগতভাবে সরকার ‘মার্জারের পক্ষে’ জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে সেটি নির্ভর করবে গণশুনানি এবং মার্কেট সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী বাজারে এর ইমপ্যাক্ট পজিটিভ না নেগেটিভ হবে সেই বিষয়টা সম্পূর্ণ যাচাই করার পর। তখন আমরা এবং বিটিআরসি নিশ্চিতভাবে বলব, এই মার্জারটি সম্ভব কি, সম্ভব নয়।”

প্রতিমন্ত্রী জানান, বিটিআরসি গণশুনানি ও সমীক্ষার প্রতিবেদন দেবে। এরপর রবি-এয়ারটেল আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের অনাপত্তি নিয়ে এসে সম্পূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে একীভূতকরণ সম্পূর্ণ করবে।

রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অন্য চার মোবাইল অপারেটর ‘ইতিবাচক মনোভাব’ দেখিয়েছে।

একীভূতকরণ নিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি গণশুনানি এবং চার অপারেটরের মতামত নিয়ে কমিশনে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিটিআরসি প্রধান শাহজাহান মাহমুদ। তাদের একীভূত হওয়ার প্রভাব বিশ্লেষণে সমীক্ষার জন্য উদ্যোগও নিয়েছে বিটিআরসি।

ব্যবসা একীভূত করতে ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর রবি আজিয়াটা লিমিটেড জানিয়েছে, একীভূত কোম্পানি রবি নামেই ব্যবসা চালাবে।

এই দুই কোম্পানি এক হলে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় চার কোটি, যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ। পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন আছে সবার উপরে।

রবির মালিকানা মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের। অন্যদিকে এয়ারটেলের মালিক ভারতের ভারতি এয়ারটেল; তারা ওয়ারিদের ব্যবসা বাংলাদেশে কিনে নিয়েছিল।

এশিয়ার বড় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোর মধ্যে আজিয়াটা অন্যতম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পাশাপাশি কম্বোডিয়া, ভারত ও সিঙ্গাপুরেও তাদের ব্যবসা রয়েছে।