ফারমার্স ব্যাংকের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে থাকছেন চিশতী

ফারমার্স ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর অব্যাহতির আদেশ স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2016, 09:47 AM
Updated : 1 Feb 2016, 09:47 AM

হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।  

একই সঙ্গে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত রুলের শুনানি করতে বলেছে আদালত।

আপিলে হাই কোর্টের আদেশ বহাল থাকায় মাহবুবুল হক চিশতী দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ফারমার্স ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক।

ঋণ বিতরণে একাধিপত্যের অভিযোগে গত বছরের ১৭ মে ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে চিশতীকে অব্যাহতির চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চিশতী হাই কোর্টে রিট করেন।

রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৭ মে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

রুলে অব্যাহতির ওই আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চেম্বার আদালতে আবেদন নিয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আজমালুল হোসেন কিউসি।

চিশতীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আর ফারমার্স ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক।

রাশেদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের অব্যাহতির আদেশটি আপত দৃষ্টিতে আদালতের কাছে আইন সম্মত মনে হয়নি বলে আপিল বিভাগ ১৫ দিনের মধ্যে হাই কোর্টে মামলাটি শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন।”

কার্যক্রম শুরুর তিনবছরের মাথায় ঋণ অনিয়মের ঘটনায় আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মালিকানাধীন ব্যাংকটি। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানও মহীউদ্দীন খান।

প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের তথ্য পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি সেখানে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়।

ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ঋণের তথ্য গোপন করায় গত ৩ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংককে ১০ লাখ টাকা জরিমানার কথা জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দশ দিনের মধ্যে ওই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়। 

তবে জরিমানার আদেশের বিরুদ্ধে ‘রিভিউ’ আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকটিকে।

২০১৩ সালের জুনে লাইসেন্স পাওয়া ফারমার্স ব্যাংক বর্তমানে ৩৮টি শাখা নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।