হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে শিপ রিসাইক্লিনিং ইন বাংলাদেশের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।
এই আদেশের ফলে পুরনো জাহাজ আমদানি, ভাঙা ও প্রক্রিয়াকরণে শিপ রিসাইক্লিং ইন বাংলাদেশের আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী শাহরিয়ার কবির।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, জাহাজ আমদানি, ভাঙা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অ্যাসোসিয়েশন অফ শিপ রিসাইক্লিং ইন বাংলাদেশকে গত ২০ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন পক্ষে হাই কোর্টে রিট করা হয়।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি হাই কোর্ট ওই অনুমোদনের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিতের পাশাপাশি অনুমোদন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দেয়।
হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে অ্যাসোসিয়েশন অফ শিপ রিসাইক্লিং ইন বাংলাদেশ ২৪ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন নিয়ে যায়।
চেম্বার বিচারপতি ওইদিন আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সোমবার এর ওপর শুনানি শেষে আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে অ্যাসোসিয়েশন অফ শিপ রিসাইক্লিং ইন বাংলাদেশের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন শাহরিয়ার কবির, জুবি বিন মুসা ও মাছুম মজুমদার।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।