পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে গত মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা অগাস্টে ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির এই হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সামান্য বাড়লেও পরিস্থিতি ‘সম্পূর্ণ স্থিতিশীল’ রয়েছে।
“মূল কথা হলো, মূল্যস্ফীতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যৎসামান্য যা বেড়েছে, তাও গেল ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাধারণ মানুষের মধ্যে কেনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হয়েছে।”
সেপ্টেম্বরে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা অগাস্টে ছিল ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
আর খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৫ ভাগ।
মুস্তফা কামাল বলেন, “মূলত খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা বৃদ্ধি পায়।”
সেপ্টেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা অগাস্টে ছিল ৫ দশমিক ৭৬ ভাগ।
আর শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৪ ভাগ।
কোনো মাসে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ সার্বিক মূল্যস্ফীতির অর্থ হল, এক বছর আগে একই সময়ে ১০০ টাকায় যে পণ্য পাওয়া যেত, ওই মাসে তা কিনতে ১০৬ টাকা ২৪ পয়সা লাগে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়ায়, যা গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ছিল।