বেনাপোল শুল্কভবনের কম্পিউটার (প্রোগ্রামার) শাখার কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, এনবিআর নির্ধারিত ৪৯৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বিপরীতে গত দুই মাসে ৪৩৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়া গেছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৪৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ১৯০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অগাস্টে ২৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৪৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।”
রাজস্ব কমে যাওয়ার পেছনে বন্দর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা ভিন্ন ভিন্ন কারণের কথা বলছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরে অনিয়ম, দুর্নীতি, হয়রানি ও পণ্য চুরি বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমে গেছে; যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আদায়ে।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, “আমদানি পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া, অহেতুক জরিমানা আদায়, প্রতিটি কেমিকেল পণ্য পরীক্ষাগারে পাঠানো, দিনের পর দিন ফাইল আটকে রাখা, অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা হয়রানির কারণে আমদানিকারকরা এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে।”
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মালামাল আনা যায়। ফলে ব্যবসায়ীরা এই পথে পণ্য আমদানিতে বেশি আগ্রহী বলে জানান অ্যাসোসিয়েশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিয়ার রহমান।
তাই বন্দরের রাজস্ব আদায় বাড়াতে হয়রানি বন্ধ, চোরাচালান রোধসহ বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অব্যবস্থাপনা দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তবে রাজস্ব কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের পর পণ্য কম আমদানি হওয়া, চোরাচালানের মাধ্যমে পণ্য আসা এবং দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান বাড়তে থাকায় আমদানি কমে গেছে।
বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার এএফএম আবদুল্লাহ খান ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে কিছু কিছু পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন হয় বলেই সেসব পণ্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।”