বুধবার সচিবালয়ে এক সভায় এফভিও-এর প্রতিবেদক প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে ত্রুটির কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া ইউরোপীয় সংস্থার প্রতিনিধি দলটি। তার সমাধান ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে করা হবে।
সভায় উপস্থিত বাংলাদেশের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, “আমরা মাছ রপ্তানিতে খারাপ, আমাদের গুণগত মান নেই- এরকম নানা অভিযোগ শুনে আসছিলাম। এফভিও-এর পজিটিভ প্রতিবেদনে আমি অভিভূত। এটা আমাদের ইউরোপে মাছ রপ্তানিতে সহায়ক হবে।”
এরপর ফিরে গিয়ে তাদের দেওয়া প্রতিবেদনে চিংড়িসহ সব ধরনের মাছ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয় বলে মন্ত্রী ছায়েদুল হক জানান।
“তবে সার্বিক ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করার বিষয়ে চারটি নির্দেশনা দিয়েছে তারা। অফিসিয়াল কন্ট্রোল সিস্টেমের নির্দেশনায় বলা হয়, মৎস্য ট্রলারগুলোর তাপমাত্রা নির্ধারিত মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ঠিক থাকে না, ট্রলারের হ্যাছাপ ঠিক হচ্ছে না, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যে ডাই-অক্সিন ব্যবহার হয় তা নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যাডমিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ।”
রাসায়নিক দূষণ নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নতুন দুটি পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। মেট্রোনিডাজল এবং ক্রিমিনাশক যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তা চিংড়িতে প্রবেশ করে কি না এবং ইইউতে ব্যবহার বন্ধ হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচলিত এমন এন্টিবায়েটিক মাছে যায় কি না, তা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
“আমি মনে করি, এফভিও-এর প্রতিবেদনের পর ইউরোপে মৎস্য রপ্তানির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে,” বলেন ছায়েদুল হক।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মন্ত্রণালয়ের সচিব শেলীনা আফরোজা, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ উপস্থিত ছিলেন।