২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত এই এক বছরে মোবাইল ফোনের গ্রাহকসংখ্যাও বেড়েছে প্রায় এক কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার।
সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ বিষয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর জুন মাস পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯৯ হাজার, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩ কোটি ৬৪ লাখ ১২ হাজার।
চলতি বছর জুন নাগাদ মোট ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজারে।
বিটিআরসির হিসাবে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯৭ শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা বাড়লেও ওয়াইম্যাক্স গ্রাহক কমেছে প্রায় এক লাখ।
আইএসপি (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) এবং পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যাও বেড়েছে খুবই সামান্য।
গত এক বছরে ওয়াইম্যাক্স গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক লাখ কমে এক লাখ ৮০ হাজার এবং আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা ৩৮ হাজার বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ১২ লাখ ৬৪ হাজারে।
বিটিআরসির হিসাবে গত জুনের শেষ নাগাদ দেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার। একই সময়ে গত বছরে জুন নাগাদ ছিল ১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৩ হাজার।
এ হিসাবে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার।
গত এক বছরে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজারে। বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৩ হাজার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে তিন কোটি ২২ লাখ ২৪ হাজার।
রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ৩৩ লাখ ৫০ হাজার বৃদ্ধি পেয়ে দুই কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার এবং এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭ লাখ ৪৩ হাজার এবং রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠান টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ লাখ ১৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
গ্রাহক পতনের ধারা বরাবরের মতো অব্যহত রেখেছে অপারেটর সিটিসেল। গত এক বছরে (জুন-জুন) গ্রাহক সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার কমে ১১ লাখ ৮৭ হাজার হয়েছে সিটিসেলের।