বর্তমান সরকারের প্রথম রদবদলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নেবেন সন্ধ্যায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হলেও নতুন মন্ত্রীদের আনতে পাঠানো হয়েছে তিনটি গাড়ি।
Published : 14 Jul 2015, 11:43 AM
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দৈনন্দিন কর্মসূচিতে সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথের সূচি রয়েছে।
মোট কতজন নতুন সদস্য মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন, বাদ পড়ছেন কারা- তা নিয়ে গত দুদিন ধরে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চললেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।
সরকারি দলের সাংসদ তারানা হালিম ও সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি ইতোমধ্যে শপথের জন্য ডাক পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও টেলিফোন পেয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।তিনি এক বছর আগে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও পূর্ণ মন্ত্রী হলে তাকে নতুন করে শপথ নিতে হবে।
নতুন মন্ত্রীদের শপথ আয়োজনে সকাল থেকেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বঙ্গভবনে ব্যস্ততা দেখা যায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা ও মন্ত্রিসভা শাখার কর্মচারীরা অফিসে আসেন সকাল সাড়ে ৮টায়। নতুন মন্ত্রীদের শপথের জন্য ফোল্ডার তৈরির কাজ চলতেও দেখা যায়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী সকালে পাঁচটি কালো রঙের প্রোটন গাড়ি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে এনে রাখা হয়। ঝকঝকে প্রতিটি গাড়ির সামনেই দেখা যায় সাদা কভারে ঢাকা পতাকার দণ্ড। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও একই ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেন।
বেলা পৌনে ১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তিনজন কর্মকর্তাকে মন্ত্রীদের জন্য রাখা তিনটি গাড়িতে করে সচিবালয় থেকে বের হয়ে যান। তবে তারা কোথায় যাচ্ছেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসার পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। ওই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি এ এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত দেড় বছরে আর কোনো রদবদল আনেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হজ নিয়ে বিতর্কিত এক মন্তব্যের কারণে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী গত বছরের ১২ অক্টোবর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েন। ওই পদ এখনও শূন্য।
আর গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয় মন্ত্রিসভারই আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। তিনি বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়েরও অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন।
বর্তমান সরকারে ২৯ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দুইজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।