চট্টগ্রামে ঘাটগুদাম শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় মজুরি বাড়ানোর দাবি আংশিক মেনে নেওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে চট্টগ্রামের ঘাটগুদাম শ্রমিকরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2015, 04:35 PM
Updated : 5 July 2015, 06:02 AM

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ মিলনায়তনে এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম ঘাটগুদাম শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, শ্রমিক লীগ নেতা সফর আলী, ঘাট ঠিকাদারদের পক্ষে আবুল হাসেম ও আবু তৈয়ব এবং গুদাম শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির মোহাম্মদ ইদ্রিস ও রাজা মিয়া হাওলাদার।

সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব রাজা মিয়া হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা ১২টা থেকে এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।

“আমাদের নয় দফা দাবির মধ্যে মজুরি বৃদ্ধির দাবি কিছুটা মানা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনার মাধ্যমে পূরণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

গত বৃহস্পতিবার থেকে নয় দফা দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেয় ঘাটগুদাম শ্রমিকরা। এতে কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটে লাইটার (ছোট আকারের) জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

রাজা মিয়া জানান, ৯০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা পণ্য নামিয়ে একজন শ্রমিক নয় টাকা এবং ৫০ কেজির প্রতিটি বস্তার বিনিময়ে পাঁচ টাকা ২৮ পয়সা পান।

ঘাট গুদাম শ্রমিকদের দাবি ছিল ৯০ কেজির বস্তার জন্য ১৩ টাকা ৫০ পয়সা ও ৫০ কেজির বস্তার জন্য সাত টাকা ৫০ পয়সা মজুরি।

শনিবার আলোচনা শেষে এ মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ কেজি বস্তার প্রতিটির জন্য ১০ টাকা ৫০ পয়সা ও ৫০ কেজির বস্তার বিপরীতে ছয় টাকা ২৭ পয়সা।

চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ হারুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘাটগুদাম শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে কর্ণফুলীর ঘাটে এবং বন্দরের বহির্নোঙ্গরে লাইটার জাহাজে করে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় জাহাজ জটের সৃষ্টি হয়েছে।

“পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় রমজানে বাজারে পণ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় পণ্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের সমন্বয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।”

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে খাদ্যশস্য ও সার লাইটারেজ জাহাজের (ছোট জাহাজ) মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটে এনে তা খালাস করে গুদামে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর থেকেও টানা তিনদিন মজুরি বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করে ঘাট-গুদাম শ্রমিকরা।