‘অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়’ বরগুনার বেতাগী উপজেলায় এক স্কুল শিক্ষিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
Published : 02 Jun 2015, 04:04 PM
সোমবার কুমড়াখালী শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই শিক্ষিকা দাবি করলেও সহকারী শিক্ষক দীপক কুমার রায় তা অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় বেতাগী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই শিক্ষিকা। এছাড়া বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
ওই শিক্ষিকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় শিক্ষকতার রোজগার দিয়েই চিকিৎসা ও সংসার চলছে। বাধ্য হয়ে দুই সন্তানকে নানার বাড়ি রাখতে হয়।
স্বামীর অসুস্থতা ও পরিবারের অসহায়ত্বের এ সুযোগ অনেকেই নিতে চায়।
তিনি বলেন, শিক্ষক দীপক কুমার রায়ও এমন ‘অনৈতিক প্রস্তাব’ দিয়ে তাকে রাজি করাতে পারেননি।
এর জেরে সোমবার বিকালে তাকে স্কুলের লাইব্রেরি রুমে ডেকে নিয়ে ‘জুতাপেটা’ করে ও ‘অশ্লীল গালাগাল’ দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ওই সময় ‘তুই’ সম্বোধন করে দীপক কুমার চিৎকার করে তাকে বলেন- ‘এই স্কুল আমার বাপ-দাদার। আমি বলছি, তুই আর এই স্কুলে আসবি না।’
এ ব্যাপারে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ফণিভূষণ সিংহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি অফিসের কাজে বর্তমানে বরিশালে রয়েছেন। তবে ঘটনাটি তিনি শুনেছেন।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ঘটনাটি অপ্রীতিকর। এ বিষয়ে সরাসরি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনার তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।"
বেতাগী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, "নির্যাতিত শিক্ষিকা থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।"
বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
দীপক কুমার রায় নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার সঙ্গে 'সামান্য কথা কাটাকাটি' হয়েছে। কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি।