স্বগোত্রীয় নারীদের নিরাপত্তা দেবে গারো শিক্ষার্থীরা

আসন্ন রমজানে স্বগোত্রের কর্মজীবী নারীদের রাতে বাসায় পৌছে দিতে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (গাসু)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 12:52 PM
Updated : 25 May 2015, 12:52 PM

রাজধানীতে কর্মজীবী এক গারো তরুণী ধর্ষিত হওয়ার পর ‘ইনডেজিনিয়াস উইম্যান সিকিউরিটি’ শিরোনামে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গারো শিক্ষার্থীদের সংগঠনটি।

সংগঠনের সভাপতি ডেনী দ্রং সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ের ধর্ষণের ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে নারীদের সুরক্ষা দিতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার পরিচয় মিলেছে। একারণে আমাদের নিরাপত্তা আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।

“রোজা-ঈদে যে সমস্ত আদিবাসী বোন, গারো বোন অনেক রাত পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকবেন এবং কাজ শেষে বাসস্থানে যাবেন, তারা যেন নিরাপদে আবাসস্থলে পৌঁছতে পারেন, সেজন্য গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”

ময়মনসিংহ অঞ্চলের গারোদের কর্মজীবী নারীর বেশিরভাগ রাজধানীর বিভিন্ন বিপণি বিতান ও বিউটি পার্লারে কাজ করে।

ডেনী দ্রং বলেন, “ঈদের সময় চাপ বেশি থাকায় তাদের গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হবে। মূলত এ সময়ে তাদের নিরাপত্তা দিতে স্বেচ্ছাসেবামূলকভাবে এ কর্মসূচিটি শুরু করতে যাচ্ছি।”

যে তরুণী ধর্ষিত হয়েছিলেন গত বৃহস্পতিবার, তিনি যমুনা ফিউচার পার্কের একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। কাজ শেষে রাতে কুড়িলে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়েছিল একদল যুবক।

ডেনী দ্রং জানান, নিরাপত্তা দিতে ঢাকাকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করেছেন তারা। সংগঠনের সদস্যরা যে এলাকায় থাকবেন ওই এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করবেন।

জোন-এতে রয়েছে উত্তরা, খিলখেত, বনানী, গুলশান, কালাচাঁদপুর, শাহজাদপুর, বাড্ডা, রামপুরা। জোন-বিতে রয়েছে মহাখালী, মিরপুর, ফার্মগেট, মনিপুরী পাড়া, তেজকুনীপাড়া, তেজতুরী বাজার, রাজাবাজার, গ্রীন রোড, কাঁঠালবাগান। জোন-সিতে জিগাতলা, ধানমন্ডি, সাত মসজিদ রোড, মোহাম্মদপুর, শুক্রাবাদ। জোন-ডিতে মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, আজিমপুর, পুরান ঢাকা ও লক্ষ্মীবাজার।

কর্মজীবী ‘আদিবাসী’ নারীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলেও জানান ডেনী দ্রং।

“যদিও এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, তারপরও এই মুহূর্তে আদিবাসী নারীর নিরাপত্তার বিষয়টিই আমরা মুখ্য হিসেবে দেখছি,” বলেন তিনি।