মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
এসপি বলেন, গত রোববার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মুন্সীগঞ্জ পুলিশকে এ বিষয়ে চিঠি দিলেও জেলা পুলিশ সেটি হাতে পায় মঙ্গলবার। এরপরই তদন্ত শুরু হয়।
চিঠিতে দেওয়া ১১ সাংবাদিক হলেন কাজী সাব্বির আহমেদ দিপু (বাংলানিউজ২৪.কম), মামুনুর রশীদ খোকা (সমকাল), শহীদ-ঈ-হাসান তুহিন(যায়যায়দিন/গাজী টিভি), মোজাম্মেল হোসেন সজল (মানবজমিন), মাহবুব বাবু (আমাদের সময়), শেখ মো. রতন (মাই টিভি), মাইনুদ্দিন সুমন (এনটিভি), মো. ফরিদুল হাসান (আরটিভি), জসিমউদ্দিন দেওয়ান (৭১ টিভি) এবং ক্যামেরাম্যান জাফর মিয়া ও আব্দুর রহমান।
চিঠিতে এ ১১ সাংবাদিককে ‘উচ্ছৃঙ্খল, অপেশাদার ও মাদকসেবী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এদিকে এ চিঠি দেওয়ার তিন দিন পর (বুধবার) মুন্সীগঞ্জের আটটি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
পত্রিকাগুলো হলো দৈনিক দেশসেবা, সাপ্তাহিক মুন্সীগঞ্জ, সাপ্তাহিক মুন্সীগঞ্জ সংবাদ, সাপ্তাহিক বিক্রমপুর সংবাদ, সাপ্তাহিক কাগজের খবর, সাপ্তাহিক মুন্সীগঞ্জের বাণী, সাপ্তাহিক সত্যপ্রকাশ ও পাক্ষিক খোলা কাগজ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম শওকত আলম মজুমদার জানান, এই পত্রিকাগুলো ছাপাখানা আইন অনুযায়ী ছাপা হচ্ছিল না।
এর আগে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে এই সংক্রান্তে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া গয়। কিন্তু এতেও কোনো সুফল আসেনি।
তাই ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ডিক্লারেশন ও রেজিস্ট্রেশন) আইনের নিয়মাবলী লংঘন করায় পত্রিকাগুলোর ডিক্লারেশন বাতিল করা হয় বলে তিনি জানান।