চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তিনজন আহত হয়েছেন।
Published : 13 May 2015, 12:42 PM
শাহ আমানত বিমানবন্দর সংলগ্ন ওই ঘাঁটিতে বুধবার বেলা ১১টা ৬ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিমানবন্দরের ম্যানেজার নূর ই আলম জানান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিধ্বস্ত কপ্টারটি ছিল একটি এমএই-১৭ হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- কপ্টারের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত সারোয়ার, পাইলট অফিসার ফুয়াদ-বিন-এহসান এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার সার্জেন্ট মো. ফেরদৌস কামাল।
সাফায়েত ও ফেরদৌসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং ফুয়াদকে চট্টগ্রাম নেভি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিমানবন্দরের ম্যানেজার নূর ই আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১০টা ৩৫ এ আকাশে থাকা অবস্থায় কপ্টার থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানানো হয়। এরপর ১১টা ৬ মিনিটে সেটি রানওয়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়।”
এ পরিস্থিতিতে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শাহ আমানতে উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রাখা হয় বলে জানান তিনি।
দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশেই বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, প্রশিক্ষণ, উদ্ধার ও পরিবহন কাজে তারা এ ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন।
বাহিনীর একজন কর্মকর্তারা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পরপরই কপ্টারে সমস্যা দেখা দেয়। পাইলট জরুরি অবতরণের জন্য কন্ট্রোল টাওয়ারে সংকেতও পাঠান। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই কপ্টার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিলেন না।
রানওয়ের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই কপ্টারে আগুন ধরে যায়। পাইলট অফিসার ফুয়াদ হামাগুঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসেন। বাকি দুজনকে বিমানবন্দরের উদ্ধারকর্মীরা বের করে আনেন।
বিমানবন্দরের একজন নিরাপত্তারকর্মী জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ পাওয়ার পর তিনি রানওয়ের কাছে হেলিকপ্টারটি পড়তে দেখেন। সে সময় কপ্টারটি জ্বলছিল।