উত্ত্যক্ততার অভিযোগ এসএমএসে জানবে পুলিশ

পুলিশের দেওয়া নম্বরে এসএমএস করলে কর্মকর্তারা জেনে নেবেন ছাত্রীদের অভিযোগের কথা। উত্ত্যক্ততা প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা চালু করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2015, 01:18 PM
Updated : 6 May 2015, 01:18 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইভটিজিং বিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের তা জানিয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার।

এসময় তিনি ছাত্রীদের রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা যে কোনো স্থানে হয়রানির শিকার হলে মোবাইল থেকে ৩৭৩ লিখে ০১৮৪১৩৭৩২৩৭ নম্বরে এসএমএস করার পরামর্শ দেন।

বনজ মজুমদার বলেন, “আপনারা যে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হলে এসএমএসের মাধ্যমে আমাদেরকে জানান।

“আমাদের দেওয়া নম্বরে কারও এসএমএস পেলে পুলিশের কোনো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা কিংবা নারী সদস্য সমস্যা জানতে আপনাকে ফোন করবে। তখন আপনারা তাকে সমস্যার বিষয়টি বিস্তারিত খুলে বলবেন এবং সে অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে, তার কাছে অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হবে না বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

তিনি বলেন, “আপনাদের সঙ্গে আমার চুক্তি হল, আপনাদের অভিযোগের বিষয়ে কখনও আপনাদের থানা বা আদালতে যেতে হবে না। আপনারা যদি না চান তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা পরিবারের সদস্যরাও তা জানতে পারবে না।”

সহকারী কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উত্ত্যক্ততার মতো বিষয়গুলো নানা ধরনের ঝামেলার ভয়ে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে চেপে রাখে। যার কারণে পুলিশ তা জানতে পারে না। এজন্য তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বনজ মজুমদার আরো জানান, ২০০৯ সালে এ ধরনের কর্মসুচি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন নজরদারিতে না থাকায় একটা ‘গ্যাপ’ তৈরি হয়ে গেছে।

পুনরায় এই কর্মসুচি চালু করায় নগরীর প্রত্যেকটি বালিকা বিদ্যালয়ে এই ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হবে বলেও জানান তিনি। 

অনুষ্ঠান শেষে খাস্তগীর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হাসমত জাহান সাংবাদকিদের বলেন, “ইভটিজিং বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো শিক্ষার্থীরা নিজের মধ্যে চেপে রাখতে চায়। পুলিশের পক্ষ থেকে এধরনের ব্যবস্থা নেয়ার ইভটিজিং রোধ হবে।”

এসময় স্কুল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) কামরুল আমীন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, কোতোয়ালি থানার ওসি জসীম উদ্দিন।