রোববার জিগাতলায় স্বামীর পক্ষে গণসংযোগের সময় আফরোজা বলেন, “সরকার যদি মনে করে থাকে, জনগণ তাদের পক্ষেই আছে, তাদেরকেই ভোট দিয়ে আনবে। তাহলে সেনাবাহিনী মোতায়েনে তাদের ভয় কেন?”
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এখনও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়নি।
রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে এক বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা ভোটের সময় সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
এরই মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এবং দলের নেতাদের কাছ থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি এসেছে।
আফরোজা আব্বাস বলেন, “প্রতিদিনই আমাদের প্রচারে থাকা ব্যক্তিদের ওপর সরকারের লোকজন হামলা করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়রানি করছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী দরকার। কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিটিটিভি বসানো দরকার।
“সেনা মোতায়েন ও সিসিটিভি বসালেই আমরা বুঝব, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। নয়ত বুঝব, সরকার আসলে ৫ জানুয়ারি স্টাইলে একটা নির্বাচন করতে চায়।”
পরে এক পথসভায় আফরোজা বলেন, “আমরা যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই মানুষের ঢল নামছে। এ কারণে সরকার ভয় পেয়ে গেছে।
“নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করে। এ কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা নির্বাচনের সাত দিন আগে সেনা মোতায়েন চাই। ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি চাই। যেন সবাই দেখতে পারে, সেখানে কী হচ্ছে।”
আফরোজা আব্বাস এদিন জিগাতলা ও রায়ের বাজারের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।