যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণ কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শাহরিয়ার কবির।
Published : 12 Apr 2015, 01:43 AM
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ অঞ্চলের আলবদর নেতা কামারুজ্জামানের কর্মকাণ্ডকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালের নাৎসি বাহিনীর পাশবিকতার সঙ্গে তুলনা করেছে আদালত।
শনিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়।
“ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তক্ষরণ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। তাদের অনেকেই বিচার না দেখে মারা গেছেন। যারা বেঁচে আছেন, তারা কিছুটা স্বস্তিবোধ করবে। দুই জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এখনও বহুদূর যেতে হবে।
জামায়াত ইসলামী নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, “যে দলের নির্দেশে কামারুজ্জামান গণহত্যা করেছে, সেই দলটি সক্রিয় থাকলে গণহত্যার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।”
শত প্রতিকূলতার পরেও যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
“কামারুজ্জামানের সন্তানেরা আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বলেছিলো, ‘পারলে ট্রাইব্যুনালে বিচার করিস’। আজ আমাদের বিজয়ের দিন, আজ আমরা তাদের আঙ্গুল দেখাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “মৃত্যদণ্ড হয়েছে, আমরা খুশি হয়েছি। আগামী ১৪ এপ্রিল সোহাগপুরের বিধবা পল্লীতে এ বিজয় উদযাপন করবো।”