যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে চাননি বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।
Published : 11 Apr 2015, 02:39 PM
শনিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তিনি (কামারুজ্জামান) মার্সি পিটিশন করতে চাননি।”
কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা জানতে আগের দিন সকালে কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা জেলার দুই ম্যাজিস্ট্রেট।
রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার নিষ্পত্তি এবং পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি বাকি ছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে পরিবারের সদস্যদের কারাগারে যেতে বলা হয়েছে বলে তার ছেলে হাসান ইকবাল জানিয়েছেন।
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে ময়মনসিংহের আল বদর কমান্ডার কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সেখানেও তার সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল থাকে।
সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য কামারুজ্জামানের আবেদন গত সোমবার খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
এরপর বুধবার দুপুরে রায়ে বিচারপতিদের সইয়ের পর তা কারাগারে পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ ওই রায় পড়ে শোনায় ফাঁসির আসামি কামারুজ্জামানকে। শুরু হয় দণ্ড কার্যকরের আগে আসামির প্রাণভিক্ষার আনুষ্ঠানিকতা।
নিয়ম অনুযায়ী একজন ফাঁসির আসামি অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে কারা কর্তৃপক্ষ তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়। রাষ্ট্রপতি সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দেন।
আসামি আবেদন না করলে বা তার আবেদন খারিজ হয়ে গেলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকর করে।
এর আগে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা প্রাণভিক্ষার সুযোগ না নেওয়ায় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রিভিউ খারিজের দিনই ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
কামারুজ্জামানের প্রাণদণ্ডের আদেশ কারাগারে পাঠানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেখেন এটা একটি অফিসিয়াল বিষয়, গোপনীয় জিনিস। এখনো অনেক কিছু বাকি-পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সিভিল সার্জন আসা। তবে সব কিছুই প্রক্রিয়াধীন।”
আগের রাতে কারাগারের সামনে বাড়তি নিরাপত্তা ও ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি দেখা গেলেও পরে তা হয়নি।