মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন বাহাদুরপাড়া গ্রামে মারা যান জরিনা বেগম (৪৫)।
আটকরা হলেন ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল খালেক (৫০) ও তার ছেলে জসিম উদ্দিন (১৯)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আদিতমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সোবহান জানান, ১০/১৫ দিন আগে খালেক স্ত্রীর জন্য একটি শাড়ি ক্রয় করেন। শাড়িটি স্ত্রীর পছন্দ না হওয়ায় ফেরত পাঠান তিনি।
এ কারণে আব্দুল খালেক ও তার ছেলে জসিম উদ্দিন রশি দিয়ে বেঁধে জরিনাকে মারপিট করেন বেশ কয়েকবার।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরেও জরিনাকে বেধরক মারপিট করেন স্বামী পল্লী চিকিৎসক আব্দুল খালেক। এতে জরিনা গুরুতর আহত হলে বাড়িতে আটক রেখে নিজেই চিকিৎসা দেন।
জরিনার ভাইয়েরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে গেলে তাদেরকেও ধাওয়া করেন খালেক ও তার ছেলে জসিম উদ্দিন।
সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে জরিনার মৃত্যু হলে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল খালেক ও জসিম উদ্দিনকে আটক করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জরিনার মৃতদেহ বুধবার লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলেও পরিদর্শক সোবহান জানান।