দুই জেলায় অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল রাসায়নিক কারখানাসহ ৬০ দোকান

গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে একটি রাসায়নিক কারখানা এবং মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ৬০টি দোকানঘর পুড়ে গেছে।

বুধবার গভীর রাত ও বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকের এ দুই আগুনের ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভীমবাজার (বাহাদুরপুর) এলাকায় কেম ট্রেক্স লিমিটেড নামের রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগে বুধবার রাত ১টার দিকে।

আর বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্টপ এলাকার অগ্নিকাণ্ডে ৬০টি দোকানঘর পুড়ে যায়।

গাজীপুর

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের এসআই মো. জোবায়দুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ১টার দিকে কেম ট্রেক্স লিমিটেড কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন টিনশেড ভবনের পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়লে যন্ত্রাংশ ও বিপুল পরিমাণ রাসায়নিকসহ বিভিন্ন মালমাল পুড়ে যায়।

খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায় বলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শহীন আলম জানান।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও শিল্পপুলিশ।

মানিকগঞ্জ

বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে সিঙ্গাইর উপজেলায় সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর সড়কের জয়মন্টপ বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৬০টি দোকানঘর এবং দোকানের ভেতরে থাকা বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে।

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক শাহাদত হোসেন জানান, আগুনের খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ ও সাভার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জয়মন্টপ বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন বলেন, ভোররাতের দিকে ইলিয়াস হোসেনের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।

“প্রথমে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনতা বালু, মাটি ও পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে সকাল ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”

ব্যবসায়ী ইলিয়াসের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তবে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি শাহাদত।